জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ সৃষ্টিতে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের (লাইব্রেরি সায়েন্স) ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনের জন্য গোটা বিশ্বই একটি লাইব্রেরি।
বৃহস্পতিবার গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের সিনেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাস পিজিডি ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স কোর্সের ৬ষ্ঠ ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম এবং ৫ম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
তথ্য-প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, একজন আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের জ্ঞানের প্রতিটি উৎসে অনুসন্ধান করার নাম যদি লাইব্রেরি হয়, তাহলে গোটা পৃথিবীই একটি লাইব্রেরি।তিনি বলেন, জ্ঞান চর্চায় লাইব্রেরি সায়েন্সের পরিসর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত। এর মাধ্যমে আধুনিক, যুগোপযোগী, উদার, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবধারায় সমৃদ্ধ মানস যদি জাগ্রত না হয়, তাহলে লাইব্রেরি শুধু ধুলোময় কিছু বইয়ের স্তূপে পরিণত হবে। এ কারণেই লাইব্রেরি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও প্রযুক্তিবান্ধব হওয়া আবশ্যক। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও লাইব্রেরিকে আধুনিক করতে যদি সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়, ই-লাইব্রেরি, ই-জার্নাল দরকার হয়, তার সবকিছুই করতে আমরা প্রস্তুত। কারণ, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানার্জনের প্রধানতম স্থান।
গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, আমি মনে করি আমাদের ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর হাতে একটি পাসওয়ার্ড থাকা উচিত। যেই পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ই-জার্নালে, ই-বুকে অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। সেটি যদি আমরা না করতে পারি, তাহলে আমরা একটি সনাতনী ব্যবস্থার লাইব্রেরির মধ্যে থাকব, তা দিয়ে সমাজ পবির্তনের জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষা গ্রহণে যদি আমরা উৎকর্ষতা অর্জন করতে না পারি, তাহলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পিছিয়ে থাকতে হবে। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন নিজেকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা।
স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন ও লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের কোর্স সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমান, পরিবহন দপ্তরের পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. সাজেদুল হক, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরের পরিচালক মু. আখতারুজ্জামান, প্রকাশনা ও বিপণন দপ্তরের পরিচালক আ. মালেক সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিসহ প্রায় ৩০০ শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
0 মন্তব্যসমূহ